প্রত্যয় ডেস্ক: ব্রেক্সিটের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই সিঙ্গাপুরের সঙ্গে অন্তত ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (১৭ বিলিয়ন পাউন্ড) মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করল যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছেন দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং সিঙ্গাপুরের পক্ষে ছিলেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী চান চুন সিং। মুক্তবাণিজ্য চুক্তির ফলে দুই দেশই একে অপরের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। এর ফলে ইলেকট্রনিকস, গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, মেডিক্যাল সরঞ্জামের মতো পণ্য রপ্তানিতে কোনও ধরনের শুল্ক দিতে হবে না। ২০২৪ সালের নভেম্বরের মধ্যেই এসব শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।
চুক্তির বিষয়ে সিঙ্গাপুরিয়ান বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই চুক্তি আমাদের নিজ নিজ ব্যবসার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই, এটি সুরক্ষাবাদ ও নাতিবাদের বিরুদ্ধেও শক্ত বার্তা। মহামারির ক্ষতি থেকে বিশ্বকে পুনরুদ্ধারে এই চুক্তি শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চুক্তিটি সিঙ্গাপুরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্য তাদের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার এবং ইউরোপে সিঙ্গাপুরিয়ানদের প্রধান বিনিয়োগকেন্দ্র। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া তথা আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুরের সঙ্গেই প্রথম মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করল যুক্তরাজ্য। যদিও সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের খুব ছোট একটি অংশ, তারপরও দেশটির সঙ্গে চুক্তি ব্রিটিশদের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র সিঙ্গাপুর। বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার আঞ্চলিক সদর দপ্তরও সেখানে। চুক্তির বিষয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রী ট্রাস বলেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে চুক্তিটি ব্যবসার নিশ্চিয়তা তৈরি করবে। এর অর্থ হবে ভবিষ্যতের ডিজিটাল ও পরিষেবা বাণিজ্যে গভীর সম্পর্ক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যুক্তরাজ্য স্বাধীনভাবে সফল বাণিজ্যচুক্তি করতে পারে, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে এই চুক্তিকে তার প্রমাণ হিসেবেও উল্লেখ করেন লিজ ট্রাস। অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও প্রায় একই ধরনের চুক্তি রয়েছে সিঙ্গাপুরের।